বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পুতুল নাচের একটি ভিডিও । জানা যায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেনের ২৬জন ছোট্ট শিশুরা মনোমুগ্ধকর এই পারফরম্যান্সটি পরিবেশন করেছিল। সেই পুতুল নাচের কোরিওগ্রাফার কে? তিনি জিয়া আমিন ।
এত সুন্দর করে এই ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা নাচ পরিবেশন করেছে যা রাতারাতি বিভিন্ন সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় । কি কারণে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ব্যাতিক্রমি এই নাচ পরিবেশন করা হয়েছিল গনমাধ্যমকে জানালেন সেই বিদ্যালয়ের কোরিওগ্রাফার ও নাচের শিক্ষক জিয়া আমিন ।
তিনি বলেন, আমি অনেকদিন ধরেই শুনে আসছি পুতুল নাচ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য সংস্কৃতি । তবে অনেকদিন ধরে পুতুল নাচ এই ভাবে হচ্ছে না । আমি চিন্তা করলাম নাচ তো সেই ছয় বছর ধরে করতেছি, যদি কোন না কোন ভাবে পুতুল নাচ স্থাপন করা যায় ।
সেই সুবাদে আমার মাথায় এটা আসছে । যে প্রত্যেক বছর আমরা খেলাতে একটা ডিসপ্লে করে থাকি । বড় দলের একটা এবং ছোট দলের একটা ডিসপ্লে করে থাকি। তো এবার আমার মাথায় এলো দেখি ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে ব্যাতিক্রমি কিছু দেওয়া যায় কি না বা আমার বাচ্ছাদের ব্যাতিক্রমি কিছু শেখানো যায় কি না ।
যদিও ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক নেগেটিভ ধারণা, নেগেটিভ বিষয় ভাইরাল করে বা নেগেটিভ বিষয় নিয়ে বেশি আলোচনা করা হয় দুই চার পাচঁ বছর যাবত । ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা করে না সেই সুবাদে আমার মাথায় আসল দেখি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি পুতুল নাচ নিয়ে কিছু করতে পারি কি না ।
আমি যাদের কে নিচে এই নাচটি করেছি তারা খুবই মেধাবী, ক্লাস ফাইবে পড়ে এবং প্রত্যেক এর এই রোল পাচঁ এর ভেতরে । তাদের কে আমি সর্বোচ্চ সাতদিন রিহার্সেল করে এই নাচটি করেছি । জিয়া আমিন আরও বলেন এই নাচটি যে এভাবে ভাইরাল হবে তা আমি কখনো ভাবি নি । তবে তার পেইজ থেকে অনুমতি না নিয়ে নিজস্ব পেইজ বা টেলিভিশনে প্রচার করায় ক্ষোভ জানান তিনি ।